নন্দী টিভি ডেস্ক :নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, সহ-সভাপতি অমল পোদ্দার, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোরশেদ সারোয়ার সোহেল এবং সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদ।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধার আওতায় সর্বোচ্চ রপ্তানি করে। তবে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে এ সুবিধা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইইউয়ের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত বর্তমানে এইচআরডিডিডি আইনের আওতায় রয়েছে। তবে বায়াররা ন্যায্যদাম দিতে অনীহা দেখাচ্ছে, যা স্থানীয় শিল্পের জন্য চাপ তৈরি করছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, ২০২৬ সালের এলডিসি উত্তরণের পর আরও অন্তত ছয় বছর জিএসপি সুবিধা বজায় রাখার জন্য ইইউর দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রস্তাবিত জিএসপি আইনের আর্টিকেল ২৯ এর আওতায় বাংলাদেশকে না রাখার অনুরোধ করেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্ক আরও মজবুত করতে তিনি তার সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। তিনি উল্লেখ করেন, শ্রমমান কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছালে বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএর সদস্য কারখানা ইপিলিয়ন নিটওয়্যারস লিমিটেড এবং মেট্রো মিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড পরিদর্শন করেন। তিনি এই কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে বিকেএমইএর পরিচালক তারেক আফজাল, আব্দুল হান্নান, জাকারিয়া ওয়াহিদ, মিনহাজুল হকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।