নন্দী ডেস্ক: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি ও যুবদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুবদল কর্মী জাহিদ হোসেন মুন্না (২৮) নিহত এবং আরো ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে যুবদল কর্মী শাকিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় মিরসরাই পৌর সদরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় মিরসরাই স্টেডিয়ামে বাণিজ্য মেলায় পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হোসাইনের সমর্থক এবং পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হোসাইনের সমর্থকরা তর্কবিতর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে জাহিদের কর্মীদের হাতে কামরুলের এক অনুসারী আহত হন। এ রেশ ধরে রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুট ওভারব্রিজের নিচে জাহিদ হোসাইনের অনুসারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। তখন উভয় পক্ষ ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষে জাহিদ হোসেনের সমর্থক জাহিদ হোসাইন মুন্না (২২)-সহ ১০/১২ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতাল, মাতৃকা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুরিকাহত জাহিদ হোসেন মুন্না (২৮) মারা যায়। জাহিদ হোসেন মুন্না মিরসরাই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ গোভানিয়া নুর আলম বাড়ির আব্দুল মান্নানের পুত্র। এ ঘটনায় আহত আসিফ (২৬), ইয়াসিন আরাফাত (২৭), বাবু (৩৫) ও রাশেদের অবস্থা গুরুতর। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় জামশেদ আলম বলেন, মুন্না অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। শাকিল গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, মিরসরাই স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী মেলা চলছে। মানুষের মধ্যে মেলা নিয়ে বিতর্ক ছিল। তবু জেলা প্রশাসন মেলার অনুমতি দেওয়ায় পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল। গতকাল মেলায় কথা কাটাকাটির পর মহাসড়কে এসে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের টিম কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।